"বাঘের বল"
লিখেছেন লিখেছেন শফিউল আজম ০৯ জানুয়ারি, ২০১৬, ০৪:৪৬:৫৯ বিকাল
আমরা অর্থাৎ পৃথিবী নামক এই গ্রহের মানুষেরা বড়ই আবেগ প্রবন. ধর্ম বিশ্বাস যাই হোক অথবা কোন ধর্মেই বিশ্বাস করেননা এমন সবার ক্ষেত্রে প্রাযোজ্য এমন একটা বিষয় হলো আশা ও অভিসম্পাত... আরেকটু খোলাসা করে বলি যেমন আমরা একক ভাবে পারিবারিক ভাবে সামাজিক ভাবে ও রাষ্ট্রিয় ভাবে কোন ব্যাক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানের আধিপত্য অথবা ক্ষমতাকে সহ্য করতে পারিনা অথবা তাদের আচরণে ব্যাথিত হই কিংবা ছলে বলে কৌশলে তার মোকাবেলায় পরাস্ত হই তখন সবার মুখ থেকে একযোগে একটি সংলাপ বেরিয়ে আসে তা হলো "বাঘের বল বার বছর" আসলে আমার দৃষ্টিতে এটি কোন নীতিকথা নয় এটি একপ্রকার অদৃশ্য অভিসম্পাত ও অসহায় আত্মসমর্পন মাত্র যুক্তি হিসাবে বলা যায় "বাঘের বল বার বছর" এর পর কি বাঘ যখন বলহীন হয়ে যাবে তখন কি শেয়াল অধিপতি হবে নাকি নতুন যে বাঘ আসবে সে নখদন্তহীন হবে সবচাইতে বড় কথা বার বছর হোক কিংবা বার দিন হোক বাঘ কিন্তু বাঘের মতই আধিপত্য বিস্তার করেই তার জানান দেয় যদি বাঘের আধিপত্যের বার বছর নতুন করে পুনরায় শুন্য দিন থেকে শুরু করার কোন ব্যবস্হা থাকত তাহলে এই নীতিকথার ভিত্তি অটুট থাকত..এর উৎকৃষ্ট প্রমাণ হিটলার, সাদ্দাম, গাদ্দাফি, মোবারক তারা কারো
দৃষ্টিতে ছিলেন মহানায়ক আবার কারো দৃষ্টিতে ছিলেন মহা খলনায়ক. সাদ্দাম ও গাদ্দাফির মৃত্যু যতই করুণ পরিসমাপ্তি হোকনা কেন তারা তাদের যৌবন হতে শুরু করে প্রবীনতম সময় পর্যন্ত বাঘের হুংকারে প্রকম্পিত করে রেখেছিলেন. আর মিশরে ৩০বছর একটানা বাঘের হুংকারের পর এখন সিংহের গর্জন কানে আসে.. তা ছাড়া মহীশুরের নবাব টিপু সুলতানের সেরা উক্তি তো সবার জানা ইদুরের মত শত বছর না বেঁচে বাঘের মত একদিন বাঁচাই ভাল কারো প্রতি হিংসা কিংবা কটাক্ষ করে নয় আমি আমার ধারনটাই প্রকাশ করলাম মাত্র আমি এক প্রবল ধর্ম বিশ্বাসী মুসলমান যদি কারো মনে আঘাত লাগে আমাকে ক্ষমা করবেন. আল্লাহ সবাইকে নিরাপদে রাখুন. আমিন.
বিষয়: বিবিধ
১১৯২ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন